ফটোইলেকট্রিক ইফেক্ট বা আলোক তড়িৎ ক্রিয়া আলোর কণা তত্ত্বের পক্ষে আরেকটি প্রমাণ। আইনস্টাইন আলোক তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করে নোবেল পুরস্কার পান।
ফোটনের শক্তি, E=hν
এই শক্তির ফোটন যদি কোন ধাতুকে আঘাত করে তবে ধাতুর ইলেকট্রন ফোটনের শক্তি শোষণ করতে পারে। শক্তি শোষণ করলে পুরোটাই করবে। শোষিত শক্তির একটি একটি অংশ ব্যয়িত হবে ইলেকট্রনকে মুক্ত করার কাজে। এরপরও যদি শক্তি অবশিষ্ট থাকে তবে তা ইলেকট্রনের গতিশক্তিতে রুপান্তরিত হবে।
কাজেই কম্পাংক বাড়ালে ইলেকট্রনের সর্বোচ্চ গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। ন্যূনতম যে কম্পাংকের কারণে ইলেকট্রন নির্গত হয়, তা হল সূচন কম্পাংক।
hν= hν0+Kmaxসমীকরণটি বিবেচনা করা যাক,
এখানে hν ফোটনের শক্তি, Kmaxইলেকট্রনের সর্বোচ্চ গতিশক্তি এবং hν0ইলেকট্রনকে মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় শক্তি। একে কার্যাপেক্ষক বলে, একে W দ্বারাও প্রকাশ করা হয়। ν0হল সূচন কম্পাংক। বিভিন্ন ধাতুর সূচন কম্পাংক বিভিন্ন। সূচন কম্পাংকের আলোর ক্ষেত্রে নির্গত ইলেকট্রেনের গতিশক্তি থাকে না।
আলোর তীব্রতা বাড়ানোর অর্থ হল ফোটনের সংখ্যা বাড়ানো। কাজেই তীব্রতা বাড়ালে নির্গত ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ে। তবে সূচন কম্পাংকের নিচের আলোক উৎসের তীব্রতা যত বেশিই হোক না কেন, কোন ইলোকট্রন নির্গত হবে না।
লাল আলোর কম্পাংক সবচয়ে কম এবং লাল আলোর আলোকতড়িৎ ক্রিয়া নেই।