যেসব রাসায়নিক দ্রব্য জলীয় দ্রবণে প্রোটন বা ধনাত্মক হাইড্রোজেন আয়ন দানে সক্ষম তাদের এসিড বলা হয়। এসিড শব্দটি এসেছে ল্যাটিন এসিডাস (acidus or acere) শব্দটি থেকে, যার অর্থ টক। এদিকে বাংলা শব্দ ‘অম্ল’ এর অর্থও যে টক তা বলাই বাহুল্য। এটি এসিডের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। লেবুর রস এবং ভিনেগার দু’টোই এসিডের উদাহরণ আর এ দু’টোই স্বাদে টক।
যে এসিড যত বেশি হাইড্রোজেন আয়ন দান করতে পারে সে এসিড তত বেশি শক্তিশালী এবং pH এর মান তত কম। এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে এবং ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে।
এসিডের জলীয় দ্রবণ ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে পানি ও লবণ উৎপাদন করতে পারে। যেমন সালফিউরিক এসিড (H2SO4) সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের (NaOH) সাথে বিক্রিয়া করে পানি (2H2O) এবং সোডিয়াম সালফেট (Na2SO4) উৎপাদন করে।
এখানে সালফিউরিক এসিড H+ আয়ন দান করে। আর সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড OH– আয়ন দান করে।
ল্যাবরেটরি এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত এসিডগুলো অনেকক্ষেত্রেই বেশ শক্তিশালী। সাধারণত হাইড্রোক্লোরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড বা সালফিউরিক এসিডের লঘু দ্রবণ ব্যবহার করা হয়। এগুলোও ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আর দ্রবণ ছাড়া ঘন এসিড অত্যন্ত বিপদজনক। তবে দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের দুর্বল এসিড ব্যবহার করে চলেছি এবং অনেকক্ষেত্রে খেয়েও চলেছি।
- লেবু জাতীয় ফলে যে এসিড থাকে তা সাইট্রিক এসিড, সংকেত: C6H8O7 বা CH2COOH-C(OH)COOH-CH2COOH,
- ভিনেগারে যে এসিড থাকে তা এসিটিক এসিড ইথানয়িক এসিড, সংকেত: C2H4O2 বা CH3COOH,
- ভিটামিন সি হচ্ছে অ্যাসকরবিক এসিড, সংকেত: C6H8O6 বা HC6H7O6,
- চা-এ থাকা এসিড: ট্যানিক এসিড সংকেত: C76H52O46,
- কার্বনেটেড পানীয়তে থাকা এসিড, কার্বনিক এসিড, সংকেত: C76H52O46,
- আমাদের পাকস্থলীতে খাবার হজমে সহায়তার জন্য যে এসিড থাকে তা হাইড্রোক্লোরিক এসিড, সংকেত: HCl ।