আইসোটোপ কি?

শিহাব উদ্দিন আহমেদ | আগস্ট ৮, ২০১৬

যেসব পরমাণুর (নিউক্লাইডের) ভর সংখ্যা আলাদা কিন্তু প্রোটন সংখ্যা একই তাদের আইসোটোপ বলা হয়।

আইসোটোপ শব্দটি এসেছে গ্রিক আইসোস (সমান) এবং টপোস (স্থান) শব্দ দু’টি থেকে। যার অর্থ দাঁড়ায় একই স্থান। আইসোটোপগুলো একই মৌলের পরমাণু হওয়ায় পর্যায় সারণীতে একই স্থানে এদের রাখা হয়।

যেকোনো মৌলের পরিচয় নির্ধারিত হয় এর কেন্দ্রে প্রোটনের সংখ্যার ভিত্তিতে। নিউট্রন সংখ্যা যাই হোক না কেন প্রোটন সংখ্যা সমান হলে তাদের একই মৌল হিসেবে ধরা হয়। কারণ পরমাণুতে যতগুলো প্রোটন থাকে ততগুলো ইলেকট্রন থাকে আর ইলেকট্রন সংখ্যাই পরমাণুর রাসায়নিক ধর্ম স্থির করে দেয়।

যেমন কার্বনের তিনটি আইসোটোপ হচ্ছে: কার্বন-১২, কার্বন-১৩ এবং কার্বন-১৪। এদের সবার কেন্দ্রে প্রোটন সংখ্যা ৬ হলেও নিউট্রন সংখ্যা যথাক্রমে ৬, ৭ এবং ৮। তাই এদের রাসায়নিক ধর্ম একইরকম হলেও পারমাণবিক ভর আলাদা।

  • কার্বন-১২: ৬ টি প্রোটন ও ৬ টি নিউট্রন
  • কার্বন-১৩: ৬ টি প্রোটন ও ৭ টি নিউট্রন
  • কার্বন-১৪: ৬ টি প্রোটন ও ৮ টি নিউট্রন

যেসব মৌলের প্রাকৃতিক আইসোটোপ নেই তাদেরও কৃত্রিম আইসোটোপ তৈরি করা হয়েছে।

আরও দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
  • আরও পড়ুন:

  • প্রশ্ন ও উত্তর: