দ্রুতগতির ট্রেন কিংবা বিমানের ভেতরে বসে জানালা দিয়ে বাইরে না তাকালে যে কারণে গতির বিষয়টি বোঝা যায় না, ঠিক সেকারণে দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকা পৃথিবীতে দাঁড়িয়েও এর গতির ব্যাপারটি উপলব্ধি করা কঠিন।
চলন্ত বাস বা ট্রেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে ছোট শিশু যেমন প্রশ্ন করে বসে ‘গাছগুলো পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে কেন’, ঠিক তেমনি পৃথিবীতে দাঁড়িয়েও… বাকি অংশ
Tag Archives: মহাকাশ
কেন আমরা আলোর চেয়ে দ্রুত বেগে ছুটতে পারি না?
সুপারম্যান যেভাবে বুলেটের চেয়ে দ্রুতবেগে পেছন থেকে ছুটে গিয়ে বুলেটকে থামিয়ে দেয় সেটিকে আমরা নিউটনীয় পদার্থবিজ্ঞান বলতে পারি। কিন্তু ১৯০৫ সালে আইনস্টাইন আপেক্ষিকতার যে বিশেষ তত্ত্ব নিয়ে আসেন তার একটি স্বীকার্য ছিল, শূন্যস্থানে এবং বায়ুমাধ্যমে সকল পর্যবেক্ষকের কাছে আলোর বেগ সমান। আলোর উৎস এবং পর্যবেক্ষকের বেগ আলোর বেগকে প্রভাবিত করতে পারে না। অন্যকথায় আলোর চেয়ে… বাকি অংশ
চাঁদে কি বায়ুমণ্ডল নেই?
চাঁদের বুকে বায়ুমণ্ডল নেই বললেই চলে। এখানে গেলে শ্বাস নেয়ার বায়ুও পৃথিবী থেকে নিয়ে যেতে হয়। পতাকা গাঁথলে সে পতাকাও বাতাসের অভাবে স্থির হয়ে থাকে। অবশ্য চাঁদে বায়ুমণ্ডল যে একদম নেই তা নয়। অত্যন্ত পাতলা যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে তাকে বলা হয় এক্সোস্ফিয়ার। এক্সোস্ফিয়ারে গ্যাস অণুর সংখ্যা খুব কম থাকায় এদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় না বললেই… বাকি অংশ
চাঁদের তাপমাত্রা কত?
চাঁদের তাপমাত্রার বিষয়টি বেশ গোলমেলে, এক কথায় এর উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। কোথাও হিমশীতল পরিবেশ আবার কোথাও প্রচণ্ড উত্তাপ। চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই বললেই চলে। ফলে বাইরে থেকে (সূর্যের আলো) সুরক্ষা কিংবা চাঁদের পৃষ্ঠের তাপ আটকে রাখা কোনটিই সম্ভব হয় না। চাঁদ কেবল পৃথিবীর চারদিকে আবর্তন করে না। নিজ অক্ষের ওপরও আবর্তন করে। ২৭ দিনে নিজ… বাকি অংশ
কার্মান রেখা, মহাকাশের শুরু যেখান থেকে
মহাকাশের শুরু কোথা থেকে? পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল যেখানে শেষ হয়েছে সেখানেই মহাকাশের শুরু। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কোথায় শেষ হয়েছে? এভারেস্টের চূড়ায় উঠতে পর্বতারোহীরা অক্সিজেনের সিলিন্ডার বহন করেন, অথচ পর্বতারোহীদের আমরা মহাকাশচারী বলি না। বেশ ওপর দিয়ে যেসব বিমান উড়ে যায় সেগুলোতেও কৃত্রিমভাবে বায়ুচাপ বজায় রাখতে হয়, বিমানকেও আমরা মহাকাশযান বলি না।
আসলে এভারেস্টের চূড়ায়ও বায়ুমণ্ডল আছে।… বাকি অংশ
মাইক্রোগ্রাভিটি বা জিরো গ্রাভিটি
প্রথমে একটি বিষয় পরিষ্কার করে নেয়া ভালো, মাইক্রোগ্রাভিটি আর জিরো-গ্রাভিটি কথাগুলো একই অর্থে ব্যবহৃত হলেও শুদ্ধভাবে বলতে গেলে মাইক্রগ্রাভিটি অর্থে জিরো-গ্রাভিটি শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করা যায় না।
শব্দগত অর্থ
অতিক্ষুদ্র কিছু বোঝাতে ‘মাইক্রো’ উপসর্গটি (Prefix)ব্যবহার করা হয়। কাজেই মাইক্রোগ্রাভিটি হল এমন অবস্থা যেখানে পৃথিবীর আকর্ষণ বলের প্রভাব খুব কম। আর জিরো গ্রাভিটি হচ্ছে এমন অবস্থা বা… বাকি অংশ