‘অম্ল বা এসিড কি’ শিরোনামে লেখাটিতে উল্লেখ করেছি এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন দান করে। ক্ষারকের (base) ধর্ম এসিডের রাসায়নিক ধর্মের বিপরীত। এরা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে এসিডকে প্রশমিত করে পানি ও লবণ তৈরি করে।
HCl + NaOH = NaCl + H2O
এখানে, হাইড্রোক্লোরিক এসিড (HCl) এবং সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের (NaOH) বিক্রিয়ায় সোডিয়াম ক্লোরাইড বা খাওয়ার লবণ (NaCl) এবং পানি (H2O) উৎপন্ন হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষারক স্বাদে তেঁতো এবং পিচ্ছিল; এরা লাল লিটমাসকে নীল করে। সাধারণত ধাতুর অক্সাইড, হাইড্রোক্সাইড, কার্বনেট এবং হাইড্রোজেন কার্বনেট ক্ষারক শ্রেণীভুক্ত। এরা সাধারণত পানিতে দ্রবীভূত হয় না। যেসব ক্ষারক (base) পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদের বলা হয় ক্ষার (alkali)।
অ্যারহেনিয়াস মতবাদ অনুসারে, জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H+) দান করলে সেটি এসিড আর হাইড্রোক্সিল (OH–) আয়ন দান করলে সেটি ক্ষারক। এ মতবাদে জলীয় দ্রবণের কথা বলায় পানিতে দ্রবীভূত হওয়ার একটি পূর্বশর্ত তৈরি হয়। ব্রনস্টেড-লাউরী মতবাদে এ সমস্যা নেই। ব্রনস্টেড লাউরী মতবাদ অনুসারে প্রোটন বা হাইড্রোজেন আয়ন (H+) গ্রহণের ক্ষমতা থাকলেই তা ক্ষারক।
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার:
ক্ষারক তেল এবং চর্বির সাথে বিক্রিয়া করতে পারে। তাই পরিষ্কারক দ্রব্য হিসেবে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং অ্যামোনিয়ার মত ক্ষারক ব্যবহার করা হয়। টুথপেস্ট, বেকিং পাউডার, এন্টাসিড ট্যাবলেট এসবই ক্ষার ব্যবহারের উদাহরণ। ঘন ক্ষারক এসিডের মত বিপদজনক এবং ক্ষয়কারী তাই এদের সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হয়।