অ্যারোসল ক্যানে সঞ্চালক গ্যাস ব্যবহারের পদ্ধতি উদ্ভাবনের সময় থেকেই সঞ্চালক হিসেবে ক্লোরোফ্লুরো কার্বন (CFC) গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে আসছিল। এই সিএফসি বায়ুমণ্ডলের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার ওপরে থাকা স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলে ওজোন (O3) গ্যাসের যে স্তর রয়েছে তার ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিএফসি গ্যাস বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে গিয়ে সূর্যের আটলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনী রশ্মির কারণে ক্লোরিন পরমাণু ছেড়ে দেয় যা ওজোন গ্যাসের অণু ভাঙার ক্ষেত্রে অণুঘটক হিসেবে কাজ করে। এভাবে ওজোন স্তরে ছিদ্রের সৃষ্টি হয়।
যে ওজোন স্তর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে আসছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ত্বকের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। তাছাড়া এ রশ্মির কারণে চোখের ক্ষতি হতে পারে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সিএফসি’র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন দেশে সিএফসির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। বিকল্প হিসেবে কার্বন ডাই অক্সাইড এবং বিভিন্ন হাইড্রোকার্বন ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়া এসব ক্যানে হস্তচালিত পাম্পের মাধ্যমেও উচ্চচাপ সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ফলে আলাদা কোন গ্যাস ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না।
আরও দেখুন: অ্যারোসল ক্যান কিভাবে কাজ করে?