সূত্র কি?

শিহাব উদ্দিন আহমেদ | ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬

বিজ্ঞানের আলোচনায় সূত্র বা Law হচ্ছে ঘটনা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তৈরি বিবরণ।

যেমন নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র:

Law of gravitation

এখানে,

m1, একটি বস্তুর ভর

m2, অন্য একটি বস্তুর ভর

r, বস্তু দু’টির মধ্যকার দূরত্ব

G, মহাকর্ষ ধ্রুবক

F, বস্তু দু’টির মধ্যকার আকর্ষণ বল

সপ্তদশ শতকে বিজ্ঞানী নিউটন সূত্রটি দিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন মহাবিশ্বের সবকিছুই পরস্পরকে আকর্ষণ করে এবং এই আকর্ষণ বলের পরিমাণ সূত্রটি থেকে বের করা যায়। কিন্তু কেন এবং কিভাবে দু’টি বস্তু পরস্পরকে আকর্ষণ করছে তার কোন ব্যাখ্যা নিউটনের কাছে ছিল না।

তিন শতাব্দী পর বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন তার আপেক্ষিক তত্ত্ব নিয়ে আসার পর বিজ্ঞানীরা বুঝতে শুরু করেন মহাকর্ষ কি এবং কিভাবে কাজ করে।

অর্থাৎ সূত্র আমাদের প্রাকৃতিক ঘটনা কেন কিংবা কিভাবে ঘটে তার কোন ব্যাখ্যা দেয় না। কেবল কি ঘটে তাই তুলে ধরে। ব্যাখ্যার জন্য আমাদের তত্ত্বের ওপর নির্ভর করতে হয়।

অনেকে মনে করেন তত্ত্ব বা থিওরি প্রমাণিত হলে সেটি সূত্রে পরিণত হয়, বিষয়টি মোটেই সেরকম নয়। অনেকে সূত্রকে চিরন্তন সত্য হিসেবে ধরে নেন। এ ধারণাও সঠিক নয়। সময়ের সাথে সাথে সূত্রও ভুল প্রমাণিত হতে পারে। সূত্রের ব্যতিক্রম পাওয়া যেতে পারে। যেমন বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কাজ করে না।

আরও দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
  • আরও পড়ুন:

  • প্রশ্ন ও উত্তর: