বিজ্ঞানের নানা আলোচনায় ভ্যাকুয়াম বা বায়ুশূন্য অবস্থার কথা বারবারই উল্লেখ করা হয়। আলোর বেগ উল্লেখ করার সময়ও আমরা শূন্য মাধ্যমের কথা বলি। কারণ শূন্য মাধ্যমে আলো যত দ্রুত যায় পানি, কাচ বা বায়ুর মধ্য দিয়ে তত দ্রুত যেতে পারে না।
ভ্যাকুয়াম বলতে একেবারে বায়ুশূন্য পরিবেশের কথা বলা হয় যেখানে বায়ুকণাসহ কোন ধরনের কণা নেই। তবে এটি তাত্ত্বিক ধারণা মাত্র। এমন বায়ুশূন্য পরিবেশ মহাবিশ্বের কোথাও নেই। পৃথিবী বা পৃথিবীর মত গ্রহগুলো তার আকর্ষণ বলের সাহায্যে চারপাশে বায়ুমণ্ডলকে ধরে রাখে। কিন্তু মহাবিশ্বে গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর মধ্যবর্তী এলাকায়ও খুব সামান্য পরিমাণে হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে যায়।
আবার ল্যাবরেটরিতেও শক্তিশালী পাম্পের সাহায্য শতভাগ বায়ুশূন্য পরিবেশ তৈরি করা যায় না। আসলে বায়ুশূন্য পরিবেশ তৈরি করলেও পাত্রের দেয়াল থেকে ফোটন কণিকা নির্গত হয়, সেই সাথে বাইরে থেকে নিউট্রিনোর মত কণিকা পাত্রের দেয়াল ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে।
ময়লা পরিষ্কার করতে যে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা হয় তাতে কেবল বাইরের চেয়ে ২০ ভাগের মত কম বায়ুচাপ সৃষ্টি করা হয়। সাধারণভাবে বাইরের পরিবেশের চেয়ে কম বায়ুচাপকেই ভ্যাকুয়াম হিসেবে অভিহিত করা হয়।