বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে আড়াই বছর বয়সী শিম্পাঞ্জী আর আড়াই বছর বয়সী মানবশিশুর মানসিক দক্ষতা একই রকম। কেবল অনুকরণ করার পরীক্ষা নিতে গেলেই এদের পার্থক্য ধরা পড়ে।
অনুকরণ করার ক্ষমতায় আড়াই বছর বয়সী মানব শিশু আড়াই বছর বয়সী শিম্পাঞ্জীকে পেছনে ফেলায় মনে হতে পারে শিম্পাঞ্জীই বেশি বুদ্ধিমান। কিন্তু অনুকরণ করার এ ক্ষমতাই মানুষকে প্রাণীজগতের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। কোন গাছের ফল বিষাক্ত, কিভাবে বিষাক্ত ফল থেকেও নিরাপদ খাবার তৈরি করা যায়- মানুষ এসব জ্ঞান অর্জন করেছে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আর এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। এভাবে একটু একটু করে মানবসভ্যতা সমৃদ্ধ হয়েছে। যা শিম্পাঞ্জীর ক্ষেত্রে হয়নি। অবশ্য অভিজ্ঞতা অর্জন করতে গিয়ে কুসংস্কারও যে ছড়ায়নি তা নয়। কিন্তু মোটের ওপর উপকারটাই বেশি হয়েছে।