ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও কি?
পেট এবং কটি বা কোমরের পরিধির অনুপাতকে বলা হয় ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও।
ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও কেন গুরুত্বপূর্ণ?
স্থূলতা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শুধুমাত্র স্থূলতা এড়ানোর মাধ্যমে এসব রোগের ঝুঁকি অনেকখানি কমিয়ে আনা সম্ভব। স্থূলতা দূর করার অর্থ হচ্ছে শরীরে চর্বি জমতে দেয়া যাবে না। স্থূলতার নির্দেশক হিসেবে বডি মাস ইনডেক্স এবং ওয়েস্ট হিপ রেশিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও নির্ণয়
নাভির ওপর ফিতা ধরে পরিধি মাপতে হবে, এটি ওয়েস্ট বা পেটের পরিধি। এরপর কোমরের সবচেয়ে স্ফীত অংশে ফিতা ধরে পরিধি মাপতে হবে। এটি কোমর বা হিপের পরিধি।
এ দুটি রাশির অনুপাতই হচ্ছে পেট ও কোমরের অনুপাত বা ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও।
ওয়েস্ট টু হিপ রেশিও ক্যালকুলেটর
স্বাভাবিক মাত্রা
পেটে চর্বি না থাকলে সেখানকার পরিধি কোমরের চেয়ে কমই হবে। মানে এ অনুপাত অবশ্যই ১ এর চেয়ে কম হবে। যেমন কারো পেটের মাপ ২৫ ইঞ্চি এবং কোমরের মাপ ৩২ ইঞ্চি হলে তার ওয়েস্ট হিপ রেশিও ০.৭৮ ।
পেটে চর্বি জমলে এই রেশিও ১ এর কাছাকাছি হয়ে যাবে। যার অর্থ হচ্ছে চর্বি ঝরাতে দ্রুত ব্যায়াম শুরু করতে হবে, সেই সাথে চর্বিযুক্ত খাবারও বর্জন করতে হবে।
পুরুষের জন্য ওয়েস্ট হিপ রেশিওর স্বাভাবিক মাত্রা হচ্ছে ০.৯ (সর্বোচ্চ) আর নারীদের জন্য এটি ০.৮ (সর্বোচ্চ)। সহজ ভাষায় দৈহিক গড়ন আপেলের মত হওয়া চলবে না, নাশপাতির মত হতে হবে।