স্টেইনলেস স্টিল তৈরির জন্য লোহায় কার্বনের পাশাপাশি তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ক্রোমিয়াম (অন্তত ১০.৫ ভাগ) এবং নিকেল মেশানো হয়। চামচ, থালাবাসন এবং চিকিৎসা সামগ্রীতে এসব স্টেইনলেস স্টিল ব্যবহার করা হয়। এগুলো সহজে অন্য রাসায়নিকের সাথে বিক্রিয়া করেনা, ক্ষয়ে যায় না (মরিচা পড়ে না) এবং সহজে জীবাণুমুক্ত করা যায়।
দেখুন: স্টিল বা ইস্পাত কি?… বাকি অংশ
বিভাগ: প্রশ্ন ও উত্তর
স্টিল বা ইস্পাত কি?
খনি থেকে পাওয়া লোহার আকরিক থেকে বিশুদ্ধ লোহা বের করে নেয়া যায়, কিন্তু সে লোহা ততটা মজবুত নয়। ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যাও থাকে। তাই লোহার বদলে ইস্পাত ব্যবহার করা হয়।
ইস্পাত হচ্ছে লোহা আর কার্বনের সংকর ধাতু। লোহায় ০.৫ থেকে ১.৫ ভাগ কার্বন মেশালেই তার ধর্ম বদলে যায়, সেটি আরও মজবুত হয়ে ওঠে। ইস্পাত তৈরির প্রক্রিয়ায়… বাকি অংশ
বায়ুপ্রবাহের গতি কিভাবে মাপা হয়?
এনিমোমিটার যন্ত্রের সাহায্য বায়ু প্রবাহের গতি মাপা হয়।… বাকি অংশ
এনিমোমিটার কি?
বায়ু প্রবাহের গতি মাপার যন্ত্রের নাম এনিমোমিটার।
যেভাবে কাজ করে:
বাতাসের প্রবাহ যেভাবে বায়ু-কলের টার্বাইনকে ঘোরায় সেভাবে এনিমোমিটারের টার্বাইনকেও ঘোরায়। বায়ুপ্রবাহের বেগ যত বেশি হয় ঘূর্ণনের হার তত বেশি হয়। এই ঘূর্ণনের হার থেকে বায়ু প্রবাহের বেগ বুঝে নেয়া হয়। কিছু এনিমোমিটারে ঘূর্ণন গণনার ব্যবস্থা থাকে আর কিছু এনিমোমিটার সরাসরি ছোট একটি জেনারেটরের সাথে যুক্ত… বাকি অংশ
লাফিং গ্যাস কি?
লাফিং গ্যাসের রাসায়নিক নাম নাইট্রাস অক্সাইড। নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেনের পরমাণুর সমন্বয়ে লাফিং গ্যাস অণু গঠিত হয়, এর রাসায়নিক সংকেত N2O ।
হাসির উদ্রেক ঘটানো এ গ্যাসটি অনেক সময় পশ্চিমা দেশগুলোয় বিভিন্ন পার্টিতে ব্যবহার করা হয়। ব্যথানাশক ধর্ম থাকায় চিকিৎসকগণ নাইট্রাস অক্সাইড বা লাফিং গ্যাস ব্যবহার করেন। অক্সিজেনের মত মতই জারণ ধর্ম রয়েছে নাইট্রাস… বাকি অংশ
পেসমেকার কি?
অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের রোগীদের হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে রোগীর বুকে বা পেটের চামড়ার নিচে যে বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে দেয়া হয় তাই পেসমেকার।
হৃৎপিণ্ড পাম্পের মত সারা দেহে রক্ত সরবরাহ করে। এটি হয় হৃৎপিণ্ডের পেশীর সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে। হৃৎপিণ্ডে নিজস্ব একটি বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা রয়েছে যাকে প্রাকৃতিক পেসমেকার বলা যায়। এখান থেকে সৃষ্ট বিদ্যুৎ পেশীর সংকোচন ও প্রসারণ… বাকি অংশ
আইসোটোপ কি?
যেসব পরমাণুর (নিউক্লাইডের) ভর সংখ্যা আলাদা কিন্তু প্রোটন সংখ্যা একই তাদের আইসোটোপ বলা হয়।
আইসোটোপ শব্দটি এসেছে গ্রিক আইসোস (সমান) এবং টপোস (স্থান) শব্দ দু’টি থেকে। যার অর্থ দাঁড়ায় একই স্থান। আইসোটোপগুলো একই মৌলের পরমাণু হওয়ায় পর্যায় সারণীতে একই স্থানে এদের রাখা হয়।
যেকোনো মৌলের পরিচয় নির্ধারিত হয় এর কেন্দ্রে প্রোটনের সংখ্যার ভিত্তিতে। নিউট্রন সংখ্যা… বাকি অংশ
ভারী পানি বা ভারী জল কি?
অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন পরমাণুর সমন্বয়ে পানির অণু গঠিত হয়। সাধারণ হাইড্রোজেন আইসোটোপের বদলে হাইড্রোজেনের ভারী আইসোটোপ যেমন ডিউটেরিয়াম পরমাণু দিয়ে গঠিত পানিকে ভারী পানি বলে। এ পানি সাধারণ পানির চেয়ে কিছুটা ভারী হয়। বিভিন্ন শিল্প এবং পারমাণবিক প্রকল্পে এর ব্যবহার রয়েছে।
আরও জানতে: ভারী পানি বা ভারী জল… বাকি অংশ