
আসলে এভারেস্টের চূড়ায়ও বায়ুমণ্ডল আছে। তবে সেখানকার বায়ুচাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুচাপের তিন ভাগের এক ভাগ, অক্সিজেনের পরিমাণও তিন ভাগের এক ভাগ। আবার বিমান যে উচ্চতায় উড়ে যায় সেখানেও বায়ুমণ্ডল রয়েছে আর বায়ুমণ্ডল আছে বলেই ডানায় ভর করে বিমান উড়ে যেতে পারে। তবে বাতাসের চাপ কম হওয়ায় বিমানের ভেতর কৃত্রিমভাবে বায়ুচাপ বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হয় যাতে যাত্রীদের কোন অসুবিধা না হয়।
ওপরে ওঠার সাথে সাথে বায়ুস্তর পাতলা হতে থাকলেও পৃথিবী থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল রয়েছে। তবে কি ১০ হাজার কিলোমিটারের পর থেকে মহাকাশের শুরু?
মহাকাশের শুরু কোথা থেকে ধারা হবে এটা অনেকটা ইচ্ছাধীন, অর্থাৎ সংজ্ঞার ওপর নির্ভর করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় একটি রেখা কল্পনা করা হয়, এই রেখার পরের এলাকাকে মহাকাশ হিসেবে ধরা হয়। একে বলা হয় কার্মান রেখা বা কার্মান লাইন। কার্মান রেখা পেরুলেন মানেই আপনি মহাকাশে পৌঁছে গেলেন, নভোচারী হিসেবেও দাবি করতে পারবেন নিজেকে। কার্মান রেখার পরের এলাকা মহাকাশ-বিদ্যার আলোচ্য বিষয় আর ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতা বা কার্মান রেখা পর্যন্ত এলাকা বিমানবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।

এদিকে বায়ুমণ্ডলের যে এলাকা থেকে বাতাসের চাপ প্রতি বর্গফুটে এক পাউন্ডের কম সেখান থেকে মহাকাশের শুরু হিসেবে বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বিমান বাহিনী। এ হিসেবে মোটামুটিভাবে ৮১ কিলোমিটারের পর থেকে মহাকাশের শুরু। পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে এ উচ্চতা পেরুলেই নভোচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তারা।
আরও কিছু তথ্য:
- আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উচ্চতা ৪০০ কিলোমিটারের মত।
- বেলুন নিয়ে মহাকাশে গিয়ে ঝাঁপ দেয়ার যে ঘটনা ঘটেছে সেটা কেবল ৪০ কিলোমিটারের মত উচ্চতা থেকে ঝাঁপ দেয়ার ঘটনা।











