ঘরেই হোক আর রেস্টুরেন্টের পাচকের হাতেই হোক কেকের মত খাবার ফুলিয়ে নরম ও আকর্ষণীয় করে তুলতে বেকিং সোডা এক অব্যর্থ অস্ত্র। এই বেকিং সোডার কর্মপদ্ধতি বেশ সরল বলা যায় আর সেটি হচ্ছে এসিড ও ক্ষারের বিক্রিয়া যেখান থেকে পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। এই কার্বন ডাই অক্সাইডই খাবার ফুলে ওঠার জন্য দায়ী।
ছেলেবেলায় অনেকেই বেকিং সোডা আর ভিনেগার মিশিয়ে বুদবুদ তৈরি করেছেন। কেক, পাউরুটি কিংবা বিস্কুট তৈরির সময় বেকিং সোডা ঠিক সে কাজটিই করে দেয়। নিচের ভিডিওটি দেখুন যেখানে বেকিং সোডা, ভিনেগার (এসিটিক এসিড) আর খাবারের কৃত্রিম রং মিশিয়ে আগ্নেয়গিরির রেপ্লিকা তৈরি করছে শিশুরা:
বেকিং সোডা হচ্ছে সোডিয়াম হাইড্রোজেনকার্বনেট বা সোডিয়াম বাইকার্বনেট যেটি উত্তাপে ভেঙে গিয়ে সোডিয়াম কার্বনেট, কার্বন ডাই অক্সাইড এবং পানি উৎপন্ন করে।
সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট → সোডিয়াম কার্বনেট + কার্বন ডাই অক্সাইড + পানি
2NaHCO3 → Na2CO3 + CO2 + H2O
তবে লেবুর রস, দুধ কিংবা মধুর মত এসিডীয় (অম্লীয়) উপকরণের উপস্থিতিতে উত্তাপ ছাড়াই ক্ষারীয় বেকিং সোডা ভেঙে কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয় যা খাবারকে ফুলিয়ে তোলে। খাদ্য উপকরণগুলো মেশানোর সাথে সাথেই বিক্রিয়া শুরু হয়ে যায় তাই সেগুলো মিশিয়ে রেখে দিলে সব কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে আসবে। ফোলানো কেকের বদলে তৈরি হবে চ্যাপ্টা বা চুপসে থাকা কেক। তাই উপকরণগুলো মেশানোর পর যত দ্রুত সম্ভব ওভেনে দিতে হয়।
অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন, কই আমার রেসিপিতে তো ওসব লেবুর রস-টস নেই, আমার তো কেক বানাতে অসুবিধা হয় না। সে প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাবে বেকিং পাউডার যেভাবে কাজ করে শিরোনামের লেখাটিতে। কারণ বেকিং পাউডার এবং বেকিং সোডা এক নয়।