পৃথিবীর বড় এবং নিরবচ্ছিন্ন ভূখণ্ডগুলোকে মহাদেশ বলা হয়। সাধারণত মহাদেশগুলোর সংস্কৃতি, উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতেরও আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। আলাদা টেকটনিক প্লেটও মহাদেশের একটি বৈশিষ্ট্য। এসব নিয়মের যে ব্যত্যয় ঘটে না তা নয়। এশিয়া এবং ইউরোপ একই প্লেটের অংশ হলেও এদের আলাদা মহাদেশ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই ইউরোপীয়রা নিজেদের অঞ্চলকে আলাদা অঞ্চল হিসেবে বর্ণনা করে চলেছেন। ইউরোপ ও এশিয়ার সংস্কৃতিতে বৈপরীত্য লক্ষণীয়। বলা যায় রাশিয়ার ইউরাল পর্বতমালা ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশকে আলাদা করে রেখেছে।
সাত মহাদেশ:
- আফ্রিকা
- অ্যান্টার্কটিকা
- অস্ট্রেলিয়া
- ইউরোপ
- এশিয়া
- উত্তর আমেরিকা
- দক্ষিণ আমেরিকা
অনেক দেশের পাঠ্যবইয়ে ইউরোপ আর এশিয়াকে আলাদা মহাদেশ হিসেবে না দেখিয়ে ইউরেশিয়া হিসেবে উল্লেখ করা হয়, অনেক দেশে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাকেও একত্রে আমেরিকা মহাদেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
সাধারণত মহাদেশের কাছাকাছি থাকা দ্বীপগুলোকে সে মহাদেশের অংশ হিসেবেই দেখা হয়। অনেক সময় কিছুটা গোলমেলে অবস্থাও তৈরি হয়। যেমন আটলান্টিক মহাসাগরের গ্রিনল্যান্ড দ্বীপটি রাজনৈতিকভাবে ইউরোপের অংশ হলেও টেকটনিক প্লেটের বিবেচনায় এটি উত্তর আমেরিকার অংশ।
আবার নিউজিল্যান্ড, হাওয়াই এবং ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার মত কিছু দ্বীপ এবং দ্বীপপুঞ্জকে কোন মহাদেশের অংশ হিসেবেই দেখা হয় না।
আরও দেখুন: দক্ষিণের অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ হলেও আর্কটিক বা উত্তর মেরু কেন মহাদেশ নয়?