শব্দের তরঙ্গদৈর্ঘ্য যেমন বেশি বা কম হলে আমরা শুনতে পাই না তেমন আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যও একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে না হলে আমরা দেখতে পাই না। অতিবেগুনী রশ্মি এমন আলোক রশ্মি যা আমরা দেখতে পাই না। এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেগুনীর চেয়ে বেশি কিন্তু এক্স-রে এর চেয়ে কম। আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটারের মধ্যে থাকে আর কম্পাঙ্ক 8 × 1014 থেকে 3 × 1016 হার্জ এর মধ্যে হয়।
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি তিন ধরনের:
- আলট্রাভায়োলেট এ (UVA) – এটি নিয়ার আলট্রাভায়োলেট হিসেবেও পরিচিত, এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৩১৫ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার।
- আলট্রাভায়োলেট বি (UVB)- একে মিডল বা মধ্য আলট্রাভায়োলেটও বলা হয়, এর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ২৮০ ন্যানোমিটার থেকে ৩১৫ ন্যানোমিটার।
- আলট্রাভায়োলেট সি (UVC)- এটি ফার আলট্রাভায়োলেট হিসেবেও পরিচিত, তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ ন্যানোমিটার থেকে ২৮০ ন্যানোমিটার। একে অনেকসময় ভ্যাকুয়াম বা এক্সট্রিম আলট্রাভায়োলেটও বলা হয়। এগুলো কেবল বায়ুশূন্য এলাকার মধ্য দিয়ে যেতে পারে, বাতাসের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না।