তসলিমা নাসরিন (জন্ম: ২৫ আগস্ট, ১৯৬২) একজন নির্বাসিত বিতর্কিত বাংলাদেশী লেখিকা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নের পর ১৯৮৬ সালে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। শৈশব থেকেই কবিতা লিখতেন, ছাত্রজীবনে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশনার সাথে জড়িত ছিলেন। আশির দশক থেকেই তার কবিতা প্রকাশিত হতে শুরু করে। ১৯৮৯ সালে নাঈমুল ইসলাম খান সম্পাদিত সাপ্তাহিক খবরের কাগজে লিখতে শুরু করেন।
নব্বইয়ের দশকের শুরুতে গদ্য প্রকাশিত হতে শুরু হয় আর বিতর্কের শুরুও তখন থেকে। ১৯৯২ সালে তার দু’টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়, সেগুলো তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত লজ্জা উপন্যাস তাকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয় সেই সাথে বিতর্কেরও জন্ম দেয়। গোঁড়া ইসলামপন্থীদের বাইরে উদারপন্থীদের অনেকেও বইটির বিষয়বস্তুতে ক্ষুব্ধ হন।
এদিকে ১৯৯৪ সালে কলকাতার দি স্টেটসম্যান জানায় তসলিমা নাসরিন বলেছেন, নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে কুরআনের সংশোধন প্রয়োজন। এ খবর বাংলাদেশ ও ভারতের মুসলমানদের আরও ক্ষুব্ধ করে তোলে। তবে তসলিমা নাসরিন দাবী করেন তিনি কেবল শরিয়াহ আইন বিলুপ্ত করার কথা বলেছেন।
তার বেশ কয়েকটি আত্মজীবনী বাংলাদেশ এবং ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে। আত্মজীবনীতে প্রকাশিত অনেক তথ্যে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি মানহানির অভিযোগে মামলাও করেন। তবে তসলিমা নাসরিনের মতে তিনি আত্মজীবনীর মাধ্যমে পুরো সত্যই তুলে ধরতে চেয়েছেন।
সমালোচকদের মতে বিতর্কিত মন্তব্য এবং লেখালেখি তসলিমা নাসরিনের নিজেকে প্রচারের একটি কৌশল আর তসলিমা নাসরিনের সমর্থকদের মতে তসলিমা নাসরিন গোঁড়ামির বিরুদ্ধে এবং নারী অধিকার ও সাম্যের পক্ষে লড়ে যাওয়া এক সাহসী লেখিকা। বর্তমানে ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।
আরও দেখুন: তসলিমা নাসরিন এর বিখ্যাত উক্তিগুলো
আরও জীবনী: